Skip to main content

Featured

ওয়েলকাম টু জার্নাল অফ জাহিদ | জাহিদ অনিক!

  হাই আমি জাহিদ অনিক! ওয়েলকাম টু জার্নাল অফ জাহিদ ( https://journalofjahid.com/ )। এটি শুধুই একটি ব্লগ/সাইট নয়, এটা আমার মস্তিষ্কের অদৃশ্য ল্যাবরেটরি। এখানে আমি লিখি যা লেখা যায় না, যা বলার মতো কাউকে খুঁজে পাই না, আর যা শেয়ার করলেও কেউ পড়বে কি না—সে চিন্তা আমার নেই। এই সাইট আমার একাকীত্বের সাক্ষী, আমার আবসার্ডিজমের প্রকাশ, আর ভবিষ্যতের জন্য রেখে যাওয়া কিছু টুকরো কথার সমাহার। ব্লগ অথবা অনলাইন পোর্টালে লেখালেখি করি বললে আসলে মস্ত বড় ভুল হবে। আমি ব্লগে কবিতা বা যা কিছু কবিতার মতো সূক্ষ্ম; সেসব বিষয় নিয়ে লেখালেখি করি। কেন করি? এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্ত পর্যন্ত জানা নাই। আসলেই জানি না কবিতা কেন লিখি! কী হয় লিখে! এই সাইট ছাড়াও আমাকে পাওয়া যাবে নিচের ঠিকানাগুলোতে। মুশকিল হলো, এই যে এতগুলো লিঙ্ক নিচে যোগ করে দিলাম, এখানে আসলে কোনোভাবেই সব লেখা সব প্ল্যাটফর্মে লেখা যায় না। লেখা হয়েও ওঠে না। চেষ্টা করি যেখানে যতটুকু পারা যায় লিখতে, নিজেকে টুকরো করে ছড়িয়ে দিতে। আমাকে যেখানে পাবেন: 📖 বাংলা কবিতা: https://www.bangla-kobita.com/jahi...

শুভ সন্ধ্যা মিস, হ্যাপি উইন্টার




ধরো,
তোমার জানালায় ধরেছে ফুল -
আফটারনুন মিস; বলেই উড়ে গেছে কাঁপাকাঁপা চড়ুই।
অনেক দূর থেকে বেজে উঠছে চার্চবেল
পোলিশ করা কাঠে খুব ভদ্রস্থঃ টোকা দিয়ে-
সম্ভ্রান্ত, মার্জিত গাউন পরা লেডি গ্লাভস হাতে মগ কফি রেখে গেছে টেবিলে।

চুপচাপ রাস্তা-
একজন বৃদ্ধা হেঁটে যাচ্ছে সাথে যাচ্ছে তার কুকুর
একজন যাচ্ছে গাড়ি করে, দুইজন পায়ে হেঁটে-
কেউ উত্তরে, কেউ দক্ষিণে-
কেউবা পূর্ব থেকে উত্তরে।
যাচ্ছে—সবাই যাচ্ছে, কেউ থেমে থাকছে না;
শুধু কারও কোনো তাড়াহুড়ো নেই- সময়ের টান নেই।

গ্যারাজে এসে ভিড়েছে গাড়ি-
দ্রুত অফ হয়ে গেল ইনগিশন সুইচ-
পর পর ছয়টা হলুদ বাতি জ্বলে উঠলো পোর্চে-
প্যাঁচানো সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে ক্রমশ: উপরে উঠছে জেন্টেল বুটের শব্দ।
দরজার ঠিক সামনে এসে দাঁড়ালেন জেন্টলম্যান-
দ্রুত কিছু নিঃশ্বাস নিলেন-
ফরাসী কায়দায় অনুমতি চাইলেন ভেতরে আসবার।

ধরো,
এইমাত্র তুমি শেষ করলে ইস্তাম্বুলের কফি-
আধশোয়া চুল খুলে মনে মনে পড়ছ বাইবেল;
প্রার্থনা করছ যীশু এসে হাত রাখুক কপালে-
দরজার ওপাশ থেকে ভদ্রলোক ঠিক তক্ষুনি 
জ্যাকেটের পকেট থেকে বের করলেন কিছু শীত আর কুয়াশা; রাখলেন কার্নিশের পাশে।

দেয়ালের শীত লাগতে শুরু করলো-
ক্যালেন্ডারের বারোটা মাস ফিসফিস করতে থাকলো-
অক্টোবর গলে গলে যেতে লাগতো, নভেম্বর জমে জমে বরফ হয়ে গেল,
দেয়াল ঘড়ির কাটা আটকে গেল ঠিক সাড়ে ছ`টায়!

তুমি তাকালে-
ঘুরে ফিরলে-
আলো হাতে নিলে-
কাউকে খুঁজলে, এবং পেলে না।
একা একা দেখছ এদিক-ওদিক;
ঠিক তক্ষুনি অক্টোবর আর নভেম্বরের মাঝখান থেকে কেউ বলে উঠলো,
- শুভ সন্ধ্যা মিস, হ্যাপি উইন্টার! 

Comments