Skip to main content

Featured

ওয়েলকাম টু জার্নাল অফ জাহিদ | জাহিদ অনিক!

  হাই আমি জাহিদ অনিক! ওয়েলকাম টু জার্নাল অফ জাহিদ ( https://journalofjahid.com/ )। এটি শুধুই একটি ব্লগ/সাইট নয়, এটা আমার মস্তিষ্কের অদৃশ্য ল্যাবরেটরি। এখানে আমি লিখি যা লেখা যায় না, যা বলার মতো কাউকে খুঁজে পাই না, আর যা শেয়ার করলেও কেউ পড়বে কি না—সে চিন্তা আমার নেই। এই সাইট আমার একাকীত্বের সাক্ষী, আমার আবসার্ডিজমের প্রকাশ, আর ভবিষ্যতের জন্য রেখে যাওয়া কিছু টুকরো কথার সমাহার। ব্লগ অথবা অনলাইন পোর্টালে লেখালেখি করি বললে আসলে মস্ত বড় ভুল হবে। আমি ব্লগে কবিতা বা যা কিছু কবিতার মতো সূক্ষ্ম; সেসব বিষয় নিয়ে লেখালেখি করি। কেন করি? এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্ত পর্যন্ত জানা নাই। আসলেই জানি না কবিতা কেন লিখি! কী হয় লিখে! এই সাইট ছাড়াও আমাকে পাওয়া যাবে নিচের ঠিকানাগুলোতে। মুশকিল হলো, এই যে এতগুলো লিঙ্ক নিচে যোগ করে দিলাম, এখানে আসলে কোনোভাবেই সব লেখা সব প্ল্যাটফর্মে লেখা যায় না। লেখা হয়েও ওঠে না। চেষ্টা করি যেখানে যতটুকু পারা যায় লিখতে, নিজেকে টুকরো করে ছড়িয়ে দিতে। আমাকে যেখানে পাবেন: 📖 বাংলা কবিতা: https://www.bangla-kobita.com/jahi...

স্টেশন

কিছুক্ষণ হলো একটা স্টেশনে এসে দাঁড়ালাম;
বসলাম না; দাঁড়ালাম।
গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে -
আমি দাঁড়ালাম। 

আমি স্টেশনে দাঁড়িয়ে;
যারা যাচ্ছেন অথবা আসছেন
নিজ নিজ ঘরে, নীড়ে, প্রিয়জনের কাছে
তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। 

এইতো একজন নারী নামলেন কম্পার্টমেন্ট থেকে-
তার হাতে ছিমছাম ব্যাগ-
ফোনটাকে কান আর স্কন্ধদেশের সাহায্যে ঠেসে ধরে
কথা বলতে বলতে আগাচ্ছেন;
তার অপেক্ষায় কেউ উন্মুখ -
হয়ত তার বাবা, প্রেমিক অথবা তার শিশু।। 

যারা স্টেশনে নামছেন অথবা উঠছেন
কিংবা,
ছেড়ে যাওয়া মানুষের অপেক্ষায়
তাদেরকে শ্রদ্ধা;
তোমাদের অপেক্ষাকে আমার সশ্রদ্ধ উষ্ণ শুভেচ্ছা৷

আমি দেখছি মানুষের হেঁটে যাওয়া
দেখছি মানুষ যেতে যেতে হঠাত থেমে যাচ্ছে
থেমে গিয়ে -
একজন আরেকজনকে তীব্র আলিঙ্গনে জড়াচ্ছেন। 

গাড়ি চেপে এই পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্যত্র চলে যাওয়া;
কেউ ছেড়ে যাচ্ছেন
কেউবা আবার যাচ্ছেন আসবেন বলে;
কেউবা অপেক্ষায় আছেন স্টেশন চত্বরে
প্রিয় মানুষকে অভ্যর্থনা জানাতে। 

আমি মানুষের এই মেলবন্ধন আর প্রস্থান দেখছি-
মনে মনে আঁকছি তীব্র ট্রাজেডি -
আর;
কিছুক্ষণ পর পর ছেড়ে যাওয়া গাড়ির তীব্র সাইরেন শুনে
বুকের মধ্যে কষছি তীব্র গণিত;
হিসেব করছি ছেড়ে যাওয়া গাড়ির গতিবেগ, যাত্রীদের ভর,
মনের সমন্বিত দুঃখবোধ, আর রক্তের গতি প্রকৃতি। 

রাতের শেষ গাড়িটা ছেড়ে গেলে
স্টেশনে এবার আমি একটু বসি;
কথা বলি মনে মনে গার্ড, টিকিট মাষ্টার,  আর লোহার দরজাদের সাথে-
আমি যা যা ভাবি; ওরা তা রোজ দেখে। 

ওরা বলে
মানুষ আসলে যাত্রী নয়;
বলে - মানুষের বুকও স্টেশন -
মানুষ ওঠে নামে।

Comments